¤¤ অদৃশ্যই ঈমানের ভিত্তি ¤¤
লিখেছেন লিখেছেন এম এইচ রাসেল ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১০:২১:০৯ সকাল
জীন নাকি দেখা যায়না।আচ্ছা বুযলাম।মানুষ কি দেখা যায়? না , মানুষ ও দেখা যায়না!!! অভাক হাওয়ার কিছু নাই।
কারন একবার চিন্তা করুন " আপনি যাষ্ট একটা ইশারা মাত্র " আর ইশারা মানে আশ্চর্য্য কুদরতি সৃষ্টি যার অর্থ হলো "প্রাণ
" এই অদৃশ্য প্রাণ মানেই আমি-আপনি!! {১টা বৈদ্যুতিক যন্ত্র যতক্ষন বিদ্যুৎ থাকে ততক্ষনই কার্যকর
থাকে।অন্যথায় ঐ বৈদ্যুতিক যন্ত্র সম্পুর্ণ অচল বা মরার
সমান} একইভাবে আপনি যদি আপনার শরীরটাকে হাজার কোটি টাক
মনে করেন, এতদসত্তেও যদি ঐ অদৃশ্য আল্লাহর
কুদরতি ইশারা শক্তি প্রাণ (আমি-আপনি বা মানুষ)
না থাকে তবে শরীরের কোন দাম নাই এবং প্রাণ তথা (আমি-
আপনি বা মানুষ) না থাকলে শরীরে ক্রমানন্বয়ে পঁচা ধরে নষ্ট
হয়ে যায়!! আপনার সামনে যদি ১টা মানুষ মারা যায় তাহলে কিছু দেখেন?
না কিছুই দেখেননা!!
অথচ আপনার সামনে বাস্তব যেটা ঘটলো তার অর্থ হলো -
মানুষটা দুনিয়া থেকে চলে গেলো!! এমনকি মায়ের পেটে সন্তানের প্রাণ প্রবেশকালেও মা একটু
ওটের পাননা!! সুতরাং =>
(১) আপনি আর শরীর ২টাই আলাদা জিনিস (২) শরীর প্রাণ দিয়ে সতেজকালীন শুধু আল্লাহর জন্যই ব্যবহার
করতে দেওয়া হয়েছে (৩) অদৃশ্য হাওয়াই জগতের অতি সুক্ষ সৃষ্টি হয়ে এই পঁচনশীল
শরীর নিয়ে অহংকার করার কিছুই নেই!!! (৪) প্রাণ মানে অদৃশ্য শক্তি। উদাহরণসরুপ- আপনি যখন এই
পঁচনশীল শরীরের চোখ ব্যবহার না করে কোন কিছু ভাবেন
বা চিন্তা করেন তখন কোন চোখ দিয়ে দেখেন?? (৫) আপনি যে এই জগতে আসার আগে " রুহানি জগতে" এসেছিলেন
তাতে কোন সন্দেহ আছে?? না মোটেও নাই। (৬) যেটা আমরা দেখিনা শুধু তার ফলাফলটাই দেখি সেটাই
অতি মুল্যবান
যেমন=>
ঈমান
আল্লাহভীতি
প্রাণ শব্দ
বাতাস
আল্লাহর বা মানুষের প্রতি টান
এইরকম আরো অনেক কিছু .… (৭) আপনার সামনে জীন থাকলেও
আপনি দেখেননা যেভাবে মানুষ(প্রাণ)
দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার সময় আপনি-আমি কেউ দেখিনা!! (৮) আমি এক অতি নগণ্য যেখানে জীন দেখিনা, প্রাণ
দেখিনা আরো কত কিছুই দেখিনা ,তাহলে ** নদী ভাঙ্গা কবরে(বা যেকোন কবরে) আযাব বা সুখ-
শান্তি দেখব কিভাবে? ** নিখোঁজ লাশ, হাসপাতালে ঔষধ দিয়ে রাখা লাশ এগুলোর
বিচার হচ্ছেনা বলবো কোন মুখে??!! (৯) আমি একটা শরীর তৈরী হওয়ার ৪মাস পর শরীরের ভিতর
ঢুকলাম।
তারপর ঐ শরীরের সবকিছু সচল হলো।
তারপর ঐ শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো ব্যবহার করলাম।
তারপর আল্লাহ প্রদত্ত হায়াতী পরীক্ষা শেষ হলো।
তারপর ঐ পঁচনশীল শরীরটা রেখে চলে গেলাম। তারপর কবর দিয়ে প্রাথমিক বিচার শুরু হলো ..…… অবশেষে আমার ব্যবহৃত শরীরটা ফেরেস্তা দ্বারা লিখিত
হায়াতী পরীক্ষার খাতার সাক্ষী হয়ে থাকলো ..…… এভাবে বলতে গেলে ভাই শেষ হবেনা। অতএব,
[{( নাদেখে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করার নামই ঈমান )}]
||লেখাটির মুল লেখকও অদৃশ্য||
বিষয়: বিবিধ
১২১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন